একসঙ্গে যেমন তাদের জন্ম, তেমনি একসঙ্গেই তারা বেড়ে উঠছে। একই শ্রেণিতে পড়ছে। এমনকি মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষায় চার বোনের স্কোরও সমান। এর চেয়ে বিস্ময়ের কথা হলো, যমজ এই চার বোন একই সঙ্গে কোরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছে।
দিমাদের জন্ম অধিকৃত জেরুজালেম নগরীর উম্মে তুবা গ্রামে। একটি দরিদ্র পরিবারে তাদের জন্ম। তাই বলে মেয়েদের শিক্ষাদীক্ষায় যত্নের অভাব নেই দিমা-দিনার মা-বাবার। একই সঙ্গে মেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষায়ও পিছিয়ে থাকুক,
তা-ও চান না তাঁরা। এ জন্য স্কুলে পড়ার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনেরও হাফেজ হয়েছে চার বোন। একসঙ্গে শুরু করে একই সঙ্গে কোরআনের হিফজ সমাপ্ত করে তারা। কোরআনের হিফজ সমাপ্ত করে তারা।
মানিকজোড়ের মতো একই সঙ্গে থাকে তারা। তাদের ব্যাপারে বলা হয়, ‘যেন এমন উজ্জ্বল একটি হার, যার পুঁতি ও পাথরগুলো পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে পৃথক হলে স্বতন্ত্র চারটি হার হয়ে উঠবে। ’
রাজান-সুজানদের মা নাজাহ আশ শানিতি (৫৪) জানান, তাঁর মেয়েরা জেরুজালেমের আবু বকর সিদ্দিক (রা.) বালিকা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। সদ্যঃপ্রকাশিত পরীক্ষার ফলাফলে সবার গড় নব্বইয়ের ঘরে। চার বোনের পারস্পরিক মিল,
লেখাপড়ার প্রতি গভীর মনোযোগ ও সাফল্যে তিনি খুবই আনন্দিত। তিনি তাঁর মেয়েদের নিয়ে গর্বিত। শানিতি আরো বলেন, ‘মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য খুব সামান্যই। দোলনায় থাকতে আমিই ওদের পৃথক করতে হিমশিম খেতাম।
এ জন্য চার মেয়ের জামায় আলাদা রঙের সুতা দিয়ে নকশা করে রাখতাম। তবে এখন আর তার প্রয়োজন হয় না। কণ্ঠস্বর শুনেই আমি বুঝতে পারি কোনটা কে। ’ তিনি বলেন, ‘খুবই অদ্ভুত ব্যাপার হলো, মেয়ে চারটি একসঙ্গে অসুস্থ ও সুস্থ হয়।
তারা মিলেমিশে খেলাধুলা করতে ভালোবাসে আর আমিও চার বোনকে একই রকম পোশাক পরিধান করার জন্য জোর দিই। তবে তাদের শিষ্টাচারের ব্যাপারে বেশি কড়াকড়ি করতে চাই না। ’
চার মেয়ের হাফেজ হওয়ার ব্যাপারে শানিতি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই কোরআন মুখস্থ করার জন্য তাদেরকে গ্রামের মসজিদে পাঠিয়ে দিতাম। একরঙা পোশাক পরে তারা মসজিদে পড়তে যেত। সেই দৃশ্য আমার চোখ শীতল করত। ’
চার বোনের স্বপ্ন হলো, তারা ফিলিস্তিনের কোনো প্রসিদ্ধ ইউনিভার্সিটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারি পড়বে। তাদের বাবা মুরয়ি আশ শানিতি (৫৮) সন্তানদের স্বপ্ন পূরণ করতে চান। এ জন্য তিনি আল্লাহর সাহায্য এবং সবার দোয়া কামনা করেন।
নিজেদের কোরআন হিফজ করার ব্যাপারে দিনা বলে, ‘১৩ বছর বয়সে আমরা চার বোন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হিফজ মারকাজে ভর্তি হই এবং ১৭ বছর বয়সে মাধ্যমিক স্কুল শেষ করার এক বছর আগে হিফজ সম্পন্ন করি।’
দিমা বলে, ‘একসঙ্গে হিফজ শেষ করতে পেরে আমরা চার বোনই খুব আনন্দিত। এ ছাড়া ইসলামী শিষ্টাচার, নৈতিকতা ও আরবি ভাষায় আমরা একই সময়ে শিক্ষা গ্রহণ করেছি। কোরআন হিফজ শুরু করার পর আমরা সব কিছুতেই বরকত লাভ করি। বিশেষত লেখাপড়া ও সময়ে।
সিসি’র স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মিশরীয়দের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মুসলিম ব্রাদারহুডের!
মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি’র স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মিশরীয়দের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সদ্য প্রয়াত মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ মুহাম্মাদ মুরসীর দল ইখওয়ানুল মুসলিমীন বা মুসলিম ব্রাদারহুড।
রবিবার (৩০ জুন) মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র তাল’আত ফাহমি এক বিবৃতিতে বলেন, ইখওয়ান স্বৈরশাসক সিসি’র বিরোধীদের নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ ও জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে চায়।
বিবৃতিতে তিনি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন মিশর ও ইসলামের পক্ষে কথা বলে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেওয়া শহীদ মুরসীর। তিনি বলেন, সিসি একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সামরিক শক্তির অপব্যবহার করে ক্ষমতাচ্যুত করে।
এবং তাকে কারাগারে রেখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। ২০১৩ সালে বন্দী হওয়ার ৬ বছর পর গত ১৭ জুন আদালতের খাঁচায় জ্ঞান হারিয়ে মারা যান মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট। মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা খুব ভালো করেই জানি সিসি এবং তার অনুচরগণ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। এটা মিশরীয়রা কখনো ভুলে যাবে না। শহীদ মুরসীর ইন্তেকালের মাধ্যমেই মিশরে আবার জাগরণ তৈরি হবে।
ফিলিস্তিনে চার যমজ বোন, চার জনই কোরআনের হাফেজ!
Reviewed by mohhamad noor hossain
on
July 25, 2019
Rating:
Reviewed by mohhamad noor hossain
on
July 25, 2019
Rating:

No comments: