Towhidur Rahman Sweet ভাইয়ের লিখা।
অনেকটা আকস্মিকভাবেই কোরআনের পাখি আললামা সাঈদী হুজুরকে গত ২১ তারিখে গোপনে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়।২০১০ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়র ফারুক হত্যাকাণ্ডের আসামী হিসেবে ২৫/৭/১৯ তারিখে তাকে কোর্টে তোলা হবে।প্রথম ২ দিন গোপন থাকলেও ২৪ তারিখে মোটামুটি সবাই জেনে যায় যে সাইদী হুজুর রাজশাহী কারাগারে আর ২৫ তারিখে তাকে আদালতে নেয়া হবে।
২৫ জুলাই ১৯ রাজশাহীর আদালত চত্তর যেমন ছিলো -
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরা কোর্ট চত্তরে কঠোর নিরাপত্তা বসানো হয়েছে।।কোর্টে প্রবেশের প্রধান রাস্তা থেকে শুরু করে সকল রাস্তায় চেক পোস্ট বসানো,বিনা তল্লাশীতে এবং কারন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।তারপরও চারদিকে লোকে লোকারণ্য ,লুঙ্গি পরা থেকে শুরু করে প্যনট পরা,পানজাবী টুপি পরা ,সাংবাদিকসহ সব শ্রেনীর লোকজনের উপস্থিতি একটু বেশি মনে হলো।প্রচন্ড ভীর ঠেলে যেতে যেতেই কয়েকবার কানে এলো,ইশ যদি এ্যকবার চেহারাডা দেখতে পেতাম।ডিউটির বাইরেও অনেক পুলিশ সদস্যকে দেখলাম ঘোরাঘুরি করছে।তাদের পাশে দারিয়ে কান পেতে শুনতে পেলাম ,তারা শুধু কোরআনের পাখিকে দেখার জন্য এসেছে।বেলা ১০.৩০ মিনিটে একটি প্রিজন ভ্যানে আদালত চত্তরে আনা হয় সাঈদী হুজুরকে।হুজুরকে বহনকারী গাড়ীটি আদালত চত্তরে প্রবেশ করা মাত্রই গাড়ীর পিছে পিছে জনতার ঢল নামে কিন্তু পুলিশ বাধা প্রদান করে ফলে তারা দুর থেকে তাকিয়ে থাকে তাদের প্রিয় মানুষকে এক নজর দেখার জন্য।
যেমন ছিল এজলাস রুম..
যে ভবনে কোর্ট বসবে সে ভবনের চারপাশে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বলয়। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট মামলার আসামী,উকিল ও কোর্টের লোকজন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচছেনা ।গেটের একপাশে কর্নারে দাড়িয়ে ছিলাম,পুলিশের বড় কর্মকর্তারা সামনে দাড়িয়ে আছে।সাইদী হুজুর আসা মাত্র এক পুলিশ কর্মকর্তা অনেকটা আবেগে জোরে করে বলে ফেললেন এইযে হুজুর আসছে।হুইল চেয়ারে করে হুজুর এজলাস রুমে প্রবেশ করলেন।প্রবেশ করা মাত্র সবাইকে হাত তুলে সালাম দিলেন।তার ছেলে মাসুদ সাঈদী হুজুরের হাত ধরে চুমু খেয়ে তাকে নিয়ে এজলাসের বেনচে বসলেন। দু সন্তানের মাঝখানে তিনি বসে ছিলেন।দীর্ঘ ৪৫ মিনিট ধরে কোর্ট চললো।ছোট্ট রুমে নারী পুরষ মিলে প্রায় শতাধিক আইনজীবি যার অধিকাংশই হুজুরকে এক নজর দেখার জন্য এসেছে। আমি শুধু তার দিকে খেয়াল রাখছিলাম।প্রায় ১০ বছর ধরে জেলে থাকার পরও হুজুরের চোখে মুখে হতাশার কোন ছোয়া নেই। চেহারায় আত্মবিশ্বাস ,অনড় মনোবল, কন্ঠে এখনও সাহসী উচ্চারণ,হাসতে হাসতে বলছেন,” ওরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে ।আদালত চলাকালীন হুজুর পানি খেতে চাইলো ,সাথে সাথে কয়েকজন পুলিশ দৌড়ে পানি নিয়ে আসলো এবং বিনয়ের সাথে হুজুরের হাতে দিলো।
আল্লাহ তায়ালা যাকে সম্মানিত করবেন তিনি যেখানেই থাকেন না কেন সম্মানিত হবেনই।বাতিলরা যারা হুজুরকে কারাগারে আটকে রেখে তার সমমান ও মর্যাদা হানি করতে চেয়ে ছিলো , তারা হয়তো জানেনা হুজুরের সমমান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যে শুধু ঈমানের পরীক্ষার কথা বলতো আজ সে ঈমানের পরীক্ষায় উর্ত্তীন ।আজও হুজুরের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত লাখো জনতা। মুসলিমরা কখনো হতাশ হয়না, নিরাশ হয় না।আমরাও হতাশ নয় ,নিরাশ হইনি।আজো লাখো আলেম ওলামা ,সাধারন জনগন ও মা বোনেরা প্রকাশ্যে ও রাতের আঁধারে দোয়া করেন হুজুরের জন্য। আমরা বিশ্বাসী এবং আশাবাদী হুজুর একদিন আবার ফিরবেন আমাদের মাঝে। আবারও তার কন্ঠে কোরআনের ঝংকার উঠবে আর সে ঝংকারে বাতিল শক্তি পালিয়ে যাবে ইনশায়াললাহ ।
২৫ জুলাই ১৯ রাজশাহীর আদালত চত্তর যেমন ছিলো -
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরা কোর্ট চত্তরে কঠোর নিরাপত্তা বসানো হয়েছে।।কোর্টে প্রবেশের প্রধান রাস্তা থেকে শুরু করে সকল রাস্তায় চেক পোস্ট বসানো,বিনা তল্লাশীতে এবং কারন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।তারপরও চারদিকে লোকে লোকারণ্য ,লুঙ্গি পরা থেকে শুরু করে প্যনট পরা,পানজাবী টুপি পরা ,সাংবাদিকসহ সব শ্রেনীর লোকজনের উপস্থিতি একটু বেশি মনে হলো।প্রচন্ড ভীর ঠেলে যেতে যেতেই কয়েকবার কানে এলো,ইশ যদি এ্যকবার চেহারাডা দেখতে পেতাম।ডিউটির বাইরেও অনেক পুলিশ সদস্যকে দেখলাম ঘোরাঘুরি করছে।তাদের পাশে দারিয়ে কান পেতে শুনতে পেলাম ,তারা শুধু কোরআনের পাখিকে দেখার জন্য এসেছে।বেলা ১০.৩০ মিনিটে একটি প্রিজন ভ্যানে আদালত চত্তরে আনা হয় সাঈদী হুজুরকে।হুজুরকে বহনকারী গাড়ীটি আদালত চত্তরে প্রবেশ করা মাত্রই গাড়ীর পিছে পিছে জনতার ঢল নামে কিন্তু পুলিশ বাধা প্রদান করে ফলে তারা দুর থেকে তাকিয়ে থাকে তাদের প্রিয় মানুষকে এক নজর দেখার জন্য।
যেমন ছিল এজলাস রুম..
যে ভবনে কোর্ট বসবে সে ভবনের চারপাশে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বলয়। শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট মামলার আসামী,উকিল ও কোর্টের লোকজন ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচছেনা ।গেটের একপাশে কর্নারে দাড়িয়ে ছিলাম,পুলিশের বড় কর্মকর্তারা সামনে দাড়িয়ে আছে।সাইদী হুজুর আসা মাত্র এক পুলিশ কর্মকর্তা অনেকটা আবেগে জোরে করে বলে ফেললেন এইযে হুজুর আসছে।হুইল চেয়ারে করে হুজুর এজলাস রুমে প্রবেশ করলেন।প্রবেশ করা মাত্র সবাইকে হাত তুলে সালাম দিলেন।তার ছেলে মাসুদ সাঈদী হুজুরের হাত ধরে চুমু খেয়ে তাকে নিয়ে এজলাসের বেনচে বসলেন। দু সন্তানের মাঝখানে তিনি বসে ছিলেন।দীর্ঘ ৪৫ মিনিট ধরে কোর্ট চললো।ছোট্ট রুমে নারী পুরষ মিলে প্রায় শতাধিক আইনজীবি যার অধিকাংশই হুজুরকে এক নজর দেখার জন্য এসেছে। আমি শুধু তার দিকে খেয়াল রাখছিলাম।প্রায় ১০ বছর ধরে জেলে থাকার পরও হুজুরের চোখে মুখে হতাশার কোন ছোয়া নেই। চেহারায় আত্মবিশ্বাস ,অনড় মনোবল, কন্ঠে এখনও সাহসী উচ্চারণ,হাসতে হাসতে বলছেন,” ওরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে ।আদালত চলাকালীন হুজুর পানি খেতে চাইলো ,সাথে সাথে কয়েকজন পুলিশ দৌড়ে পানি নিয়ে আসলো এবং বিনয়ের সাথে হুজুরের হাতে দিলো।
আল্লাহ তায়ালা যাকে সম্মানিত করবেন তিনি যেখানেই থাকেন না কেন সম্মানিত হবেনই।বাতিলরা যারা হুজুরকে কারাগারে আটকে রেখে তার সমমান ও মর্যাদা হানি করতে চেয়ে ছিলো , তারা হয়তো জানেনা হুজুরের সমমান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যে শুধু ঈমানের পরীক্ষার কথা বলতো আজ সে ঈমানের পরীক্ষায় উর্ত্তীন ।আজও হুজুরের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত লাখো জনতা। মুসলিমরা কখনো হতাশ হয়না, নিরাশ হয় না।আমরাও হতাশ নয় ,নিরাশ হইনি।আজো লাখো আলেম ওলামা ,সাধারন জনগন ও মা বোনেরা প্রকাশ্যে ও রাতের আঁধারে দোয়া করেন হুজুরের জন্য। আমরা বিশ্বাসী এবং আশাবাদী হুজুর একদিন আবার ফিরবেন আমাদের মাঝে। আবারও তার কন্ঠে কোরআনের ঝংকার উঠবে আর সে ঝংকারে বাতিল শক্তি পালিয়ে যাবে ইনশায়াললাহ ।
রাজশাহীর আদালতে কোরআনের পাখির একদিন....
Reviewed by mohhamad noor hossain
on
July 25, 2019
Rating:

No comments: