.
দিগন্ত টেলিভিশনে যখন মিউজিক্যালে প্রোগ্রাম হতো, উলুঙ্গ ড্যান্স নামের বেহায়পনা সহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম হতো তখন একজন স্বনামধন্য আলেম আমাকে প্রশ্ন করেছিলো, এটা নাকি ইসলামী দল হিসেবে দাবিদার জামায়াতের টিভি, কথাটি কি সত্য ? আমি উত্তরে বলেছিলাম, এটা দল হিসেবে জামায়াতের নয়, জামায়াতের কিছু নেতার নিয়ন্ত্রিত দিগন্ত গ্রুপের। লোকজন ভুল করে জামায়াতের মনে করে, যেমনটা ভাবে ইসলামী ব্যাংক জামায়াতের দলীয় সম্পত্তি।
.
তিনি বললেন, যদি তাই হয় তাহলে প্রশ্ন করবো জামায়াতের মতো ইসলামী দলের নেতারা টাকার জন্য নাচ গান বিক্রি করা শুরু করলো কোন দুঃখে? যুগের সাথে তাল মিলাতে, মিডিয়া যুদ্ধে জয়ী হতে ? তাহলে কেবল এটুকো বলবো, কোন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য হারাম পথে পা দিতে হবে ? একই অখাদ্য যদি আমরাও দেই, তাহলে পরিবর্তন আসবে কি করে ? এক্ষেত্রে ইরানের শীয়াদের থেকেও শিক্ষা নেওয়া যেত। তারা কিছুটা ইসলামী পরিচয় ধরে রেখেছে। দিগন্ত সেটাও পারেনি।
.
বারবার প্রশ্ন করেছি কেন এসব হচ্ছে। পরে অবশ্য জানতে পারলাম দিগন্তের হেডের দায়িত্ব্য পাওয়া মঞ্জু ভাই আগাগোড়া সৌখিন মানুষ। পাবলিক চয়েজ মানে জনাকাঙ্ক্ষার বিষয়ে তিনি দারুন স্মার্ট মানুষ। জনাকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী টিভি প্রোগ্রাম তৈরি করে তিনি দিগন্তকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন পাশাপাশি ইসলামী ধারার লোকদের মনে জামায়াত সম্পর্কে নেতীবাচক ধারনার জন্ম দিতে তিনি মোটেও কার্পন্য করেননি।
.
এই অপকর্মের দায় তাকে চুকাতে হবে একদিন। ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতির নেত্রীত্বে যে টিভিটি পরিচালিত হচ্ছে সেটাতে নাচগান জায়েজ হওয়া নিয়ে কেউ প্রশ্ন করার সাহস করেছে কিনা আমি জানি না। যে কারণে ইসলামী সংগীত শিল্পী মানিক তার তুলির আচড়ে হয়ে গেছে মর্ডাণ শিল্পী। জীবন আর মানিকরা তো এখন বাদ্য যন্ত্রকে হালাল ফতোয়া দিয়ে ওলামায়ে মুহাক্কিকদের জাহেল ফতোয়া দেয়।
.
জামায়াতের মধ্যকার ট্রেডিশনাল ইসলামী মুল্যবোধকে এ যুগে একেবারের বেমানান প্রমাণ করতে বার বার ব্যর্থ হয়ে একাত্তর ইস্যূকে পুজি করে দল ত্যাগ করে নতুন করে জনাকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আলাদা ধারার দল তৈরির ঘোষনা দিয়েছেন তিনি। আজকের একটি স্টেটাসে তিনি দাবি করলেন, সর্ব অঞ্চল থেকে অভূতপুর্ব সাড়া তিনি পেয়েছেন। চিন্তা করলাম, এরকম লোক কারা যারা সাবেক হওয়া জামায়াত লিডারের ডাকে মৌ মাছির মতো ছুটে আসলো। আশে পাশে খোজ নিয়ে দেখলাম, বি এন পি বা আওয়ামী লীগের কোন ধারার লোকেরাই এসব নীতি কথায় বিশ্বাসী না, তারা পরিবার কেন্দ্রিক ভাবনাতেই হাবুডুব খাচ্ছে। তাহলে আসলো কারা ?
.
হটাৎ করে দেখা হয়ে গেলো আমাদের অঞ্চলের সাবেক সদস্য পরিচয় দেওয়া এক ভদ্রলোকের সাথে। নাম বললে অনেকেই চিনবেন। তিনি একটি মাল্টিপারপাস মানে কিস্তি দেওয়ার প্রতিষ্টান পরিচালান করেন। সাথে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান একটি কিন্ডারগার্ডেনও চালান। আজকে তাকে দেখলাম জনাকাঙ্ক্ষার ভূয়সী প্রশংসা করতে। মনে হচ্ছে দলটি জন্ম না নিলেই বেচারা হাপিত্তাশ করতে করতে মরে যাবেন। জামায়াত যাকে সূদী কারবার ছেড়ে দলে আসার অনুরোধ করেছে, যিনি ডিজুজ মার্কা মুফতি সেজে জনাকাঙ্ক্ষার অনুকুলে থাকাতে সুদি কারবারকে যুগের প্রয়োজনে মানুষের প্রয়োজনে জরুরী মনে করেন , তার মতো লোকেরা জনাকাঙ্ক্ষাতে না থাকলে মানায় ? বড্ড বেমানান !
.
আরেক ভদ্রলোক তো আমার সাংবাদিকতার গুরু। নিজে হাফেজ ছিলেন। জামায়াতের সমালোচনা করতে করতে সময় পার করে দিলেন কিন্তু হেফজ ধরে রাখতে পারলেন না। আমার জেলার সাবেক সভাপতি, যার তত্ববধানে আমার সদস্য ফরম পুরণ করা, তিনি চল্লিশের কোঠায় পা দিয়েও বিয়ে করতে পারেননি। কারণ জামায়াতের সিস্টেমের সমালোচনা করতে কারতে কখন সময় পার হয়ে গেলো, সেটাই তিনি টের পেলেন না। এরকম বহু লোকের কিচ্ছা আমার সামনে আছে যাদের দেখলে কষ্ট হয় যে, এরা এক সময় ইসলামী আন্দোলন করতো, ফজরের ওয়াক্তে যাদের কণ্ঠে কোরআনের তেলাওয়াতের সুর ভেসে উঠতে। এখন আর সেই দিন নেই। জাগতিক কল্যানের চিন্তায় তারা নিজেদের ভবিষ্যত ভুলে গেছে। ভুলে গেছে অন্যকে নয়, নিজেকে এবং নিজের আহালক জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করার হুকুম সবার আগে।
দিগন্ত টেলিভিশনে যখন মিউজিক্যালে প্রোগ্রাম হতো, উলুঙ্গ ড্যান্স নামের বেহায়পনা সহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম হতো তখন একজন স্বনামধন্য আলেম আমাকে প্রশ্ন করেছিলো, এটা নাকি ইসলামী দল হিসেবে দাবিদার জামায়াতের টিভি, কথাটি কি সত্য ? আমি উত্তরে বলেছিলাম, এটা দল হিসেবে জামায়াতের নয়, জামায়াতের কিছু নেতার নিয়ন্ত্রিত দিগন্ত গ্রুপের। লোকজন ভুল করে জামায়াতের মনে করে, যেমনটা ভাবে ইসলামী ব্যাংক জামায়াতের দলীয় সম্পত্তি।
.
তিনি বললেন, যদি তাই হয় তাহলে প্রশ্ন করবো জামায়াতের মতো ইসলামী দলের নেতারা টাকার জন্য নাচ গান বিক্রি করা শুরু করলো কোন দুঃখে? যুগের সাথে তাল মিলাতে, মিডিয়া যুদ্ধে জয়ী হতে ? তাহলে কেবল এটুকো বলবো, কোন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য হারাম পথে পা দিতে হবে ? একই অখাদ্য যদি আমরাও দেই, তাহলে পরিবর্তন আসবে কি করে ? এক্ষেত্রে ইরানের শীয়াদের থেকেও শিক্ষা নেওয়া যেত। তারা কিছুটা ইসলামী পরিচয় ধরে রেখেছে। দিগন্ত সেটাও পারেনি।
.
বারবার প্রশ্ন করেছি কেন এসব হচ্ছে। পরে অবশ্য জানতে পারলাম দিগন্তের হেডের দায়িত্ব্য পাওয়া মঞ্জু ভাই আগাগোড়া সৌখিন মানুষ। পাবলিক চয়েজ মানে জনাকাঙ্ক্ষার বিষয়ে তিনি দারুন স্মার্ট মানুষ। জনাকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী টিভি প্রোগ্রাম তৈরি করে তিনি দিগন্তকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন পাশাপাশি ইসলামী ধারার লোকদের মনে জামায়াত সম্পর্কে নেতীবাচক ধারনার জন্ম দিতে তিনি মোটেও কার্পন্য করেননি।
.
এই অপকর্মের দায় তাকে চুকাতে হবে একদিন। ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতির নেত্রীত্বে যে টিভিটি পরিচালিত হচ্ছে সেটাতে নাচগান জায়েজ হওয়া নিয়ে কেউ প্রশ্ন করার সাহস করেছে কিনা আমি জানি না। যে কারণে ইসলামী সংগীত শিল্পী মানিক তার তুলির আচড়ে হয়ে গেছে মর্ডাণ শিল্পী। জীবন আর মানিকরা তো এখন বাদ্য যন্ত্রকে হালাল ফতোয়া দিয়ে ওলামায়ে মুহাক্কিকদের জাহেল ফতোয়া দেয়।
.
জামায়াতের মধ্যকার ট্রেডিশনাল ইসলামী মুল্যবোধকে এ যুগে একেবারের বেমানান প্রমাণ করতে বার বার ব্যর্থ হয়ে একাত্তর ইস্যূকে পুজি করে দল ত্যাগ করে নতুন করে জনাকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আলাদা ধারার দল তৈরির ঘোষনা দিয়েছেন তিনি। আজকের একটি স্টেটাসে তিনি দাবি করলেন, সর্ব অঞ্চল থেকে অভূতপুর্ব সাড়া তিনি পেয়েছেন। চিন্তা করলাম, এরকম লোক কারা যারা সাবেক হওয়া জামায়াত লিডারের ডাকে মৌ মাছির মতো ছুটে আসলো। আশে পাশে খোজ নিয়ে দেখলাম, বি এন পি বা আওয়ামী লীগের কোন ধারার লোকেরাই এসব নীতি কথায় বিশ্বাসী না, তারা পরিবার কেন্দ্রিক ভাবনাতেই হাবুডুব খাচ্ছে। তাহলে আসলো কারা ?
.
হটাৎ করে দেখা হয়ে গেলো আমাদের অঞ্চলের সাবেক সদস্য পরিচয় দেওয়া এক ভদ্রলোকের সাথে। নাম বললে অনেকেই চিনবেন। তিনি একটি মাল্টিপারপাস মানে কিস্তি দেওয়ার প্রতিষ্টান পরিচালান করেন। সাথে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান একটি কিন্ডারগার্ডেনও চালান। আজকে তাকে দেখলাম জনাকাঙ্ক্ষার ভূয়সী প্রশংসা করতে। মনে হচ্ছে দলটি জন্ম না নিলেই বেচারা হাপিত্তাশ করতে করতে মরে যাবেন। জামায়াত যাকে সূদী কারবার ছেড়ে দলে আসার অনুরোধ করেছে, যিনি ডিজুজ মার্কা মুফতি সেজে জনাকাঙ্ক্ষার অনুকুলে থাকাতে সুদি কারবারকে যুগের প্রয়োজনে মানুষের প্রয়োজনে জরুরী মনে করেন , তার মতো লোকেরা জনাকাঙ্ক্ষাতে না থাকলে মানায় ? বড্ড বেমানান !
.
আরেক ভদ্রলোক তো আমার সাংবাদিকতার গুরু। নিজে হাফেজ ছিলেন। জামায়াতের সমালোচনা করতে করতে সময় পার করে দিলেন কিন্তু হেফজ ধরে রাখতে পারলেন না। আমার জেলার সাবেক সভাপতি, যার তত্ববধানে আমার সদস্য ফরম পুরণ করা, তিনি চল্লিশের কোঠায় পা দিয়েও বিয়ে করতে পারেননি। কারণ জামায়াতের সিস্টেমের সমালোচনা করতে কারতে কখন সময় পার হয়ে গেলো, সেটাই তিনি টের পেলেন না। এরকম বহু লোকের কিচ্ছা আমার সামনে আছে যাদের দেখলে কষ্ট হয় যে, এরা এক সময় ইসলামী আন্দোলন করতো, ফজরের ওয়াক্তে যাদের কণ্ঠে কোরআনের তেলাওয়াতের সুর ভেসে উঠতে। এখন আর সেই দিন নেই। জাগতিক কল্যানের চিন্তায় তারা নিজেদের ভবিষ্যত ভুলে গেছে। ভুলে গেছে অন্যকে নয়, নিজেকে এবং নিজের আহালক জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করার হুকুম সবার আগে।
এরকম লোকদের এক এক করে পাবলিকের কল্যানে কাজে লাগাতে পারলে ক্ষতি কি ? এগিয়ে যাক জনাকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশ। তবে আমরা যারা ইসলামী আন্দোলনকে জাহান্নামের আগুন নেভানোর, গুনাহ মাপের জারিয়া হিসেবে নিয়েছি, আল্লাহর দ্বীন ক্বায়েমের মতো ফরজকে জেনে শুনে ফরজ হিসেবে গ্রহণ করে জীবনের লক্ষ উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেছি, তাদের মতো লোকদের ঐসব দলে গিয়ে কোন ফায়দা হবে না। কারণ তারা নিজেরাই জানে না তারা আসলে কি করতে চাচ্ছে ? নিয়তে যাদের ঘাপলা, তারা কি করে সফল হবে ? তবে যতটুকো সম্ভব, অন্তর মরে যাওয়া লোকগুলোর শক্তিকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে পারলে ক্ষতি কি ? অন্তত কিছু লোকের গায়ে লাগানো পুর্বেকার জামায়াতী লেবেলটা অন্তত খশে পড়বে। এটা যে জামায়াতের জন্য বড় বেদনায়দায়ক ছিলো, সেটা কি তারা কখনো উপলদ্ধি করেছে ?
মঞ্জু ভাইকে একদিন হিসেব চুকাতে হবে ইনশায়াল্লাহ !
Reviewed by mohhamad noor hossain
on
July 27, 2019
Rating:
No comments: